بسم اللہ الرحمن الرحیم

আইনি পরামর্শ পর্বঃ- ১

আইনি পরামর্শ পর্বঃ- ১



আইনি পরামর্শ 
পর্বঃ- ১

ভিক্টিম ও তার সমস্যাঃ-

আসসালামু আলাইকুম,,..... 
দুই বছর আগে আমার বিয়ে হয়,,আমার বিয়ের কিছুদিন পর জানতে পারলাম আমার স্বামী ড্রাগ এডিক্টেড,,, বিয়ের অনেক আগে থেকে বলতে গেলে স্কুল জীবন পারি দেয়ার পর থেকেই সে নেশায় আসক্ত,,,,  বিয়ের আগেই তাকে ৬-৭ বার মাদক নিরাময় কেন্দ্রে দিয়েছিলো কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি,,, বিয়ের আগে সে তার  ব্যাবসার সম্পুর্ন টাকা  নষ্ট করে ফেলে,,,,,,বিয়ের পর সে তার পরিবারের টাকায় চলতো,,,
 আমার পরিবার কে তারা এসব কথা গোপন করেই বিয়ে টা দিয়েছে,,, তাদের বাসা কক্সবাজার আর আমার বাবার বাসা উত্তর বঙ্গে,,, এত দূর হওয়ার কারনে ওখানে আমাদের পরিচিত কোন লোক ছিলো না তাই ছেলের কোন খোজ নিতে পারেনি ঠিক ভাবে,, যদিও একবার আমার বাবা আর বড় দুলাভাই গিয়েছিলো বিয়ের আগে তাদের বাসায় বিয়ের কথা বার্তা বলার জন্য কিন্তু ছেলের বাবার ব্যাবহার দেখে আর ছেলের ব্যাবহার দেখে আমার বাবা এতটাই সন্তুষ্ট হন যে তারা বাইরে কোন খোজ খবর না নিয়ে চলে আসেন।।।তাদের তুলনায় আমরা অনেক গরীব, আমার বাবা সব কিছু ছেলের বাবা কে খুলে বলে,
ছেলের বাবা সব কিছু জেনেই নিজ খরচে বিয়ে টা করান,,, ছেলের বাবা অত্যাম্ত ভালো একজন মানুষ।। তারপরে বিয়েটা হয়। 
কিন্তু বিয়ের পর যখন জানতে পারলাম ছেলে নেশার পিছনে সব ধংস করেছে তখন আমি আমার husbend কে অনেক ভাবে বুঝানোর চেষ্টা করি নেশা বাদ দিতে,, সে বাদ দিয়েও দেয়,, কিন্তু তার পরেও মাঝে মাঝে সে মদ খেয়ে বাসায় আসতো, সেটা নিয়ে আমি রাগ হতাম,,, অন্যদিকে তার মা  আমাকে দিয়ে সারাদিন অনেক কসজ করিয়ে নিতো, আমিও প্রথমের দিকে তেমন কিছু মনে করতাম না, ভাবতাম আমি একটা মাত্র বউ, আমার দায়িত্বটা বেশি,, শশুর শাশুরীর সামান্য প্রশংসা শুনার জন্য সারাদিন রাত এক করে দিতাম সংসারের জন্য,,, স্বামিকে এতটাই ভালোবাসতাম যে তার শত শত অন্যায় আমি সেকরিফাইজ করে তাকে বুঝানোর ট্রাই করতাম,, যাতে সব ঠিক হয়ে যায়,,, কিন্তু ও বুজতো না,, তাই মন অনেক খারাপ লাগতো, husbend  এর অবহেলায় একটা সময় সংসারের কাজে কিছুটা অমোনোযোগি হয়ো গেলাম,, তার ওপরে পর পর ২ টা বাচ্চা নষ্ট হওয়ার কারনে আমার শারীরিক আর মানষিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে,, আগের মত চটপট করে কাজ করতে পারতাম না বলে শাশুরির অনেক ঝারি খেতে হতো,, শশুরের জন্য শাশুড়ী বেশি কিছু বলতে পারতো না,,, 
হঠাৎ গত বছর করোনার আগে আগে শশুরের মৃত্যু হয়,, তখন থেকে শুরু হয় জীবনের আসল মানে,, আমার স্বামী মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পরে,, আমি সবসময় তার সাথে বন্ধুর মত মিসতাম তাই তার ভালো মন্দ সব কিছু সে আমাকে চট করেই বলে দিতো,, তাকেও বুজতে আমার বেশি সময় লাগতো না,, বাবার মৃত্যুর পর তার পরিবর্তন দেখে আমি মনে করলাম সে হয়তো এবার পুরোপুরি ভালো হয়ে যাবে,,,, আমার স্বামি যখন ওদের পারিবারিক মিটিং এ বললো তাকে যোনো একটা ব্যাবসার  জন্য ব্যাবস্থা করে দেয়,,,, কারন আমার শশুরের আলহামদুলিল্লাহ অনেক টাকা রেখে গিয়েছে ব্যাংক এ, এমনকি প্রতি  মাসে ফ্লাট ভারা সহ ২ লক্ষ টাকা আমার শাশুরির হাতে আসতো শশুর মারা যাওয়ার পর,,,, সেটা নিয়ে আমার স্বামি কিছুই বলেনি, সে শুধু নিজে কিছু করতে চেয়েছিলো,, এটা নিয়ে আমার শাশুরি ঝগরা করে অনেক, তার কথা হলো সে কিছু দিবে না, তোর যা মন চায় তুই কর গিয়ে,,,।। 
আমিও আমার স্বামিকে বুঝাতে লাগলাম,, তুমি মাকে কোন প্রেসার না দিয়ে নিজে কিছু করো,, কিন্তু তার একটাই কথা আমার বাবার এত কিছু থাকতে আমি একমাত্র  মানুষের দরজায় দরজায় কেন চাকুরি খুজবো,, আর আমি ব্যাবসা করতে চাই,, সেটার জন্যে আমার বাবার যথেষ্ট সামর্থ্য আছে আমাকে হেল্প করার,, তাহলে কেন সেটা আমার মা করবে না,,,, এসব নিয়ে আমারো কিছু বলার ছিলোনা,,, বলতে গেলে শাশুরি খোটা দিতো তোমার বাপের বাসা থেকে এনে দেও,,,।। 
বাবা মারা যাওয়ার পর আমার শাশুরির রুপ যেনো আকাস পাতাল তফাৎ লক্ষ করলাম,, কিন্তু কিছুই করার নেই,, কারন আমার স্বামি কিছু করেনা,, তাই তার হুকুৃম মত সারাদিন কাজ করতাম,,,।।
 আমার স্বামীর একটা ছোট বোন ছিলো ডিভোর্সি,, সে তার ৯ বছর বয়সের  মেয়েকে নিয়ে আমার শশুর বাসায় থাকে প্রায় ৫ বছর হলো,সে একটা জব করে মোটা অংকের বেতনের,,,, আমার শাশুরির কথা, বউয়ের কিছু দরকার হলে আমাকে অথবা আমার মেয়ের কাছে চাইবে,,, আর তার ছেলের পকেট খরচ একদিন পর পর ৫০০ টাকা দিবো,,,। আমার স্বামী রাজি হয়ে গেলো,,, সে একদিন পর পর ৫০০ টাকা নিয়ে বন্ধু মহলের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে ঘড়ে ফিরতো, আর আমার কাজ ছিলো তাদের সবার প্রয়োজন মিটানো,,,, আমি লজ্জায় কখনো কিছু চাইতাম না,,,, আমাকে কাজের বুয়ার মতো করে চালাতো,,,,,, তাও কিছু বলতাম না।।এমনকি শাশুরি অনেক রাগ হইতো বাবার বাসা থেকে কিছু আনতে পারিনি সেসব বলে খোটা দিতো।। আমি কখনো এসব আমার স্বামীকে বলতাম না।।
একটা সময় মা ছেলের আবার ঝগরা লাগলো, অন্য একটা বিষয় নিয়ে,, তখন আমার স্বামী রাগের মাথায় আমার শাশুরিকে  বলে ফেললো, আমার বউকে কাজের মেয়ে বানিয়ে রাখছো, আর আমাদের ভবিষ্যৎ কি?? তখন আমার শাশুরি বললো এত বড় কথা,,,, তুই আলাদা হয়ে যা বউ নিয়ে,, উপর তলার ফ্লাটে চলে যা এত সমস্যা হলে তোদের,,,
আমি এসবের কিছুই জানতাম না, কারন তারা যখন এসব কথা তুলেছিলো আমি তখন সেখানে ছিলাম না।।
আমার স্বামীও আলাদা হওয়ার জন্য রাজি,, তাদের মধ্যে এভাবে কথা হলো যে,, আমার শাশুরি ওপরের একটা ফ্লাট দিবে, তারপর বাজারের জন্য আর আমার স্বামীর হাত খরচের টাকাও সে দিবে,,,। 
আমি শুনে মোটেও রাজি হইনি,, কারন কোন মেয়ে চাইবেনা তার বেকার স্বামিকে নিয়ে আলাদা হতে,,,,কিন্তু আমার স্বামি আমাকে আসসাস দিলো যে সে খুব শিগ্রই কিছু একটা করবে,,, সে ব্যাবসা শুরু করবে,,,। 
তারপর একদিন সারা রাত আমি চিন্তা করলাম,,, আমার শাশুরির অনেক টাকা, তার এক ডাকে অনেক কাজের লোক হাজির হয়ে যায় কাজ করার জন্য, সে অনেক স্মার্ট আর কম বয়সি মহিলা,আমার মত একটা বউ নামের কাজের লোক কমলে তার কোন যায় আসেনা,,,, তাই এখানে আলাদা হলে তার কোন অসুবিধে হবে না,,
পরে আমার এক ফুফা শশুরের সাথে আমি কথা বললাম, সেও আমাকে বুঝালো যে তোমরা আলাদা হও,, এতে করে তোমার স্বামী হয়তো সংসারের দায়িত্ব টা বুজবে,, চাপে পরলে সে সব ঠিক করে নিবে,,,।। আর আমি বোকা আমিও ভাবলাম আমার ওপর কাজের চাপ টা একটু হলেও কমবে,,, সেটা ভেবে চার তলায় চলে গেলাম।।আর রান্না করার জন্য কিছু জিনিস কিনে নিলাম নিজের বিয়েতে পাওয়া স্বর্নের আংটি বেচে।।
সময়টা ছিলো ২০২০ এর জুলাই মাস,,,,, 

কিন্তু যা ভেবেছি তার একদম উল্টা হলো,,, আমার স্বামী সব সময় টাকা চাওয়ার জন্য আমাকেই পাঠাতো তার মায়ের কাছে,, বাজারের টাকা,, এমনকি প্রতিটাদিন হলুদের গুরা, বেগুন, মাছ ইত্যাদি ইত্যাদি চাওয়ার জন্য যেতে হতো ২ তলায় শাশুরির ঘড়ে,,কারন আমার স্বামী ঠিক মত বাজার করতে চাইতো না, সে সারা রাত ফোন টিপতো, আর সারা দিন ঘুমাইতো,, কিছু বললে বলতো নিচে থেকে নিয়ে আসো।। 
আমার কাছে খুব খারাপ লাগতো এ বিসয়গুলো,,,তার মাঝেও শাশুরির মাথায় তেল দেয়া থেকে শুরু করে তার ঘার টিপে দেয়া, তার জন্য নাস্তা বানানো সব কিছুই আমি করে দিয়ে আসতাম,,, আর সময় অসময় শাশুরি কল দিলেই যেতে হতো দৌরে,, নিজের যত সমস্যা থাকুক না কেনো তার কথা মত কাজ না করলে সে খুব ক্ষেপে যেতো,,,, এভাবে দিন ১০-২০ বার তারো বেশি বা ভাগ্য ভালো থাকলে কম সময় আমাকে সেই ২ তলা থোকে চার তলা ওঠা নামা করতে হতো,, এতে করে শরীরের যে টুকু এনার্জি বেচে ছিলো তাও গেলো নষ্ট হয়ে,, আমার গহনা গুলি নিলো আমার স্বামী, বললো ব্যাবসা করবে ভালো কিছু করবে,, কিন্তু সেটা নিয়েও সে কিছু করতে পারলো না,,,,। 
এর মাঝে আমার আবার বাবু পেটে আসলো,, আমার প্রিয়ড বন্ধ হবার সাথে সাথে আমি আমার স্বামীকে বললাম আগে তো ২ টা বাচ্চা নষ্ট হয়েছে, এবার একটু ডাক্তার দেখানো দরকার,, সে কোন কথা গায়ে লাগালো না,,,, শাশুরিকে বললাম সেও তাদের নিজেদের নিয়ে ব্যাস্ত,,।উল্টো সে একদিন ভোর ৫ আমাকে ডেকেছিলো নাস্তা বানানোর জন্য, আমার গায়ে সেদিন অনেক জ্বর এসেছিলো তাই যেতে পারিনি,,সেই জন্য আমার শাশুরি খুব বাজে ভাবে কথা শুনিয়েছেন আমাকে,,, এদিকে আমার স্বামিও শুয়ে বসে দিন কাটায়,একটা দিন আমি একটু শরীরটাকে আরাম দিতে পারিনি,,,।। 
প্রথম প্রথম বাচ্চা কলসিভ করলে সব মেয়েদেরই একটু শরীর খারাপ লাগে, তার ওপরে আমার ওপর মানসিক শারীরিক ভাবে অনেক নির্যাতন হতো ওই বাসাতে,,। ডাক্তার দেখাচ্ছিলোনা আমাকে তাই আমি একটা পর্যায়ে স্বামীর সাথে রাগ করে চলে আসি বাবার বাসায়।। ...... বাবার পরিবার অনেক গরিব তাই তাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা ছিলোনা আমাকে গিয়ে নিয়ে আসার।।।তার ওপরে আমার বাবার চাকুরিটাও চলে গেছে ১ বছর হলো, সেও অসুস্থ অনেক।।
যাই হোক চলে এলাম বাবার বাসায়,,,, বাবা ডাক্তার দেখালো,,টেস্ট করালো ডাক্তার বললো আমার বাবু পেটে প্রায় ২ মাস হয়ে গেছে, এখন তিন মাসে পরেছে,, তিন মাস পুরো বেড রেস্ট দিলো আমার, কারন আমার আগেও ২ টা বাচ্চা নষ্ট হয়েছে,তার ওপরে আমার শরীরের কন্ডিশন অনেক খারাপ ছিলো।।।
আমি ভাবলাম আমার শাশুড়ী বাচ্চার কথা শুনে অনেক খুসি হবে,, 
কিন্তু আমার ধারনা ভুল, যেদিন থেকে তাদের জানালাম,, সেদিন থেকে আমার শাশুরি একদম আমাকে কল দেয়া অফ করে দিলেন, আমার আম্মু কল দিলে উল্টা পাল্টা বলতো, ১ বছর আগে কি হয়েছে সেসব নিয়ে পেচাল পারা আরম্ভ করলো,,অথচ আমার বাচ্চার আর আমার কি অবস্থা সেটা জিগগেস করতো না,, 
তবে আমার স্বামী আমাকে প্রতিটা দিন কল দিতো, খোজ নিতো,, কিন্তু আমার সমস্ত রাগ আর অভিমান ছিলো যেনো তার ওপরেই,,আমি তাকে বললমাম, আমি যাবোনা তোমার কাছে,,, তুমি নিজে যতদিন কিছু না করবা, ততদিন আমি যাব না,,, তুমি মাসে ৫০০০ টাকা ইনকাম করলেও আমার আপত্তি নেই, তাও আমি আমার স্বামীর টাকায় চলতে চাই,,আমি চাইনা আমার সন্তান এসে আমাদের এত নাটক দেখুক সংসারে।।।আমার স্বামী অনেক ক্ষমা চায় তার কৃতকর্মের জন্য, সে আমাকে বলে তার নিজের মানসিক অবস্থা ভালো ছিলো না তাই সে আমার সাথে অমন করেছে।।।আমি আমার বাবার বাসায় এসেছি ১ মাস ৪ দিন হবে।। আমার স্বামী একমাত্র আমার খোজ খবর রেখেছে, খরচ দিয়েছে আমার।। 
 আমার হাজব্যান্ড তার মায়ের সাথে আবার হয়তো বসে আবার ব্যাবসার ব্যাপারে কথা বলার জন্য ,,সেটা নিয়ে তাদের মাঝে আবার ঝামেলা হয়।।।।
গত পরশু আমার শশুর বাসার  পাশের বাড়ির একটা মেয়ে আমাকে কল দিয়ে বলল ভাবি আপনাদের বাসার সামনে এত লোক কেনো,, ভাইয়াকে গারিতে করে কারা যেনো নিয়ে গেলো।। 
আমি তারাতারি করে আমার স্বামীকে কল দিলাম কিন্তু সে বার বার কল কেটে দিলো, সে কখনোই আমার কল কাটেনা,,আমার কেমন জানি লাগলো,,, পরে আমার ননদ থেকে শুরু করে সবাইকে কল দিয়েছি কেউ আমাকে জানায়নি আসলে জি হয়েছে ওখানে ।
শেষ মেষ রাত ১০ টায় জানতে পারলাম আমার স্বামিকে মাদকনিরাময় কেন্দ্রে দিয়েছে আবার,,,, আমি পুরাই অবাক হয়ে গেলাম,,,, আমাকে একটা বারো তারা জানাইল না, তার ওপরে কোন যায়গায় দিয়েছে তাকে সেটাও বলতেছে না,,, 
আমার স্বামী একমাত্র আপন মানুষ যে সব সময় আমার খোজ রাখতো,, কত রাগ দেখিয়েছি আসার পর, তার পরেও সে আমাকে কল দিতো,, আর তারা এটা কি করলো।।
তারা এভাবে আমার এই অবস্থায় কেনো এটা করলো,, আমার কল আমার শাশুরি ধরেনা,,, আমার ফুফা শশুর কে বললাম আমার খরচ আমার স্বামী চালাতো,, আমার বাবা গরিব তারা তাদের সংসার চালাতেই হিমসিম খায়,,।তাদের কোন উত্তর নেই।।।
এই অবস্থায় আমার কি করা উচিৎ।।। 
প্লিজ কেউ আমাকে হেল্প করেন।। 
আমার বাবার বাসাতেও বেশিদিন থাকতে পারতেছিনা, কারন সবাই না না রকম প্রশ্ন করে, আমি খুব কষ্ট পাচ্ছি আমার স্বামির জন্য কষ্ট হচ্ছে, সে আসলে অনেক ভালো হয়ে গেছে,, আগের মত নেই,,তারা তার পরেও এমন কেন করলো।।
কেউ আমাকে একটু বলেন প্লিজ আমি এমতাবস্থায় কি করতে পারি।।
আমার কারি কারি  টাকা পয়সা কিংবা বাড়ি গাড়ি চাইনা, আমও আমার স্বামী সন্তানকে নিয়ে ভাল ভাবে বাঁচতে চাই।।




সমাধানঃ- 

আপু, সর্ব প্রথম আপনার অনাগত সন্তানের  সুস্থ ডেলিভারি জরুরি। যত অসুবিধে হোক  সে পর্যন্ত ধৈর্য ধারণ করুন। তৎপরবর্তীকালে আপনার স্বামী কোন সংশোধানাগারে আছে তা খুঁজে বের করুন।  এরপর একএে বসে দেখতে পারেন কি সমাধান হয়। যদি ফলপ্রসূ প্রতিকার না হয় তাহলে স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানায় লিখিত ভাবে জানান। মা শ্রদ্ধার স্হান। তবে পিতার সম্পত্তির ওয়ারিশ ছেলেও। মায়ের তা আটকে রাখার অধিকার নেই। আর আপনার শ্বাশুড়ি আইনগতভাবে সকল কিছুর কিভাবে খবরদারী/ কর্তৃত্ব  করছে তা বলেননি।  আপনার স্বামীর মাদকাসক্তি দূর করাটাই মুখ্য এখানে।  সে সুস্থ হলেই, বাকি পথটা সহজ হয়ে যাবে। 


মাহামুদুল হাসান সাকিব 
আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও গ্রুপ প্যানেল আইনজীবী

Previous Post Next Post